মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

আগামী নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ: জাপানি রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ: জাপানি রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, ‘আমরা একটি সুষ্ঠু এবং সুন্দর নির্বাচন প্রত্যাশা করি। আর বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা চলমান রাখতে আগামী নির্বাচনে গণতান্ত্রিকভাবে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে হোটেল খাজানাতে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং ফ্রেডরিক-অ্যাবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসাডর’ আয়োজনে তিনি এ প্রত্যাশা জানান।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিকভাবে জাপানের মতামতের একটা গুরুত্ব রয়েছে। এর আগে আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি।

আমি আশা করব এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না। ’এ বিষয়ে দেশের পুলিশ কর্মকর্তারা আরও সতর্ক হবেন বলে আশা করি।

বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ইতো নাওকি বলেন, ‘জাপান বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে আরো অনেক অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন পড়বে। এই উন্নয়নের যাত্রায় জাপান-জাইকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। ’

বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান পাশে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গুণগত অবকাঠামো উন্নয়নে জাপান সহায়তা অব্যাহত রাখবে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বাণিজ্যিক করিডরে। আমরা এই মহা-উৎসবে আসতে পেরে আনন্দিত। ’

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তা দান এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাপানের সহায়তার কথাও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।

খেলাধুলা নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশে বেসবল খেলার একটি সুন্দর প্রচলন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বেসবল দল একদিন এশিয়ার সেরা দলে পরিণত হবে। 

বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেক প্রতিভা আছে। সেই প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে ওয়েস্ট এশিয়া কাপে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মধ্যে দিয়ে এশিয়ান গেমসে সুযোগ করে নেবে বাংলাদেশ।

এ সময় আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে গানটি গেয়ে বাঙালি সংস্কৃতির প্রশংসা করেন তিনি। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি প্রতিরাতে রবীন্দ্রসংগীত শুনি। কিছু কিছু অর্থ বুঝি না, তবুও এটি আমাকে টানে।

রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে জাপানের ফোক গানের একটা মিল আছে। আমি এটা পছন্দ করি। আর অ্যাম্বাসির কাজ খুব একঘেয়ে কাজ, সেখানে রবীন্দ্রসংগীতই আমাকে একটু শান্তি দেয়।

টিএইচ