সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে নতুন প্রকল্প অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের এক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। যা পাঠানো হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন কমিশন ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কমিশনের সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা হবে। এছাড়া ইভিএম সংরক্ষণ জনবল তৈরি ও প্রশিক্ষণের জন্য এখানে ব্যয় রাখা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে কমিশন সভা ছিল।

সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আপনারা এ-ও জানেন, বর্তমানে ৭০টি আসনে ইভিএম ভোটগ্রহণের সক্ষমতা আছে কমিশনের। ফলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট হলে আমাদের আরও ইভিএম মেশিন তথা সরঞ্জামাদি লাগবে।

গত আগস্টে ইসির সংলাপে ২২টি রাজনৈতিক দল ইভিএম নিয়ে মতামত দিয়েছিল। এর মধ্যে নয়টি দল সরাসরি ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়েছে।

আরও পাঁচটি দল ইভিএম নিয়ে সংশয় ও সন্দেহের কথা বলেছে। কেবল আওয়ামী লীগসহ চারটি দল ইভিএমে ভোট চেয়েছে। আর কয়েকটি দল শর্তসাপেক্ষে ইভিএমের পক্ষে বলেছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি উপেক্ষা করে ২০১০ সালের ১৭ জুন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন।

পরে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন আগের কমিশনের চালু করা ম্যানুয়াল ইভিএম বাতিল করে নিজেরাই ফিঙ্গারপ্রিন্টযুক্ত ইভিএম তৈরি করে।

ইসি-সংশ্লিষ্টরা জানান, গত পাঁচ বছরে মোট ৭৯১টি নির্বাচন হয়েছে ইভিএমে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি জাতীয় সংসদের বিভিন্ন আসনের উপনির্বাচনও ভোট হয়েছে ইভিএমে।

জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের যেসব নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার করা হয়েছে, সেসব মূলত শহর এলাকায়।

 

টিএইচ