শিল্প পুলিশ প্রতিষ্ঠার যুগপূর্তি উপলক্ষে রোববার (৩০ অক্টোবর) দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। সোমবার (৩১ অক্টোবর) শিল্প পুলিশ প্রতিষ্ঠার যুগপূর্তি উদ্যাপিত হবে।
শিল্প পুলিশের সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে অংশীদারিত্বমূলক পুলিশিং ব্যবস্থা প্রচলনের লক্ষ্যে এই ইউনিট নিয়মিত কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং এবং ‘ওপেন হাউস ডে’ সহ নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শ্রমিক, মালিক ও অংশীজনদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে শিল্পাঞ্চলে উৎপাদনমুখী ও স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ স্বাধীনতা পদক লাভ করে। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জীবন উৎসর্গকারী বীর পুলিশ সদস্যদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস ও আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে সরকার ২০১০ সালে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ নামে নতুন একটি ইউনিট সৃষ্টি করে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপধান বলেন, দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও উৎপাদনমুখী কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে অংশীদারিত্বমূলক পুলিশিং ব্যবস্থা প্রচলনের লক্ষ্যে এ ইউনিট নিয়মিত কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং এবং ওপেন হাউস ডেসহ নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শ্রমিক, মালিক ও অংশীজনদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে শিল্পাঞ্চলে উৎপাদনমুখী ও স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, দেশি-বিদেশি শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার অন্যতম প্রধান নিয়ামক হচ্ছে শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা।
তিনি আশা করেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সব সদস্য পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বপালনের মাধ্যমে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখাসহ জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় অধিকতর অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন তিনি।
টিএইচ