ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মানুষ বিগতদিনে ভোট দিতে পারেনি। কোনো দল একবার ক্ষমতায় আসলে আর ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। এই কালচার বন্ধ করতে চাই। পলিটিক্যাল কালচার রিফর্ম করতে চাই। জাতিকে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ রাষ্ট্র উপহার দিতে চাই।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের হালিশহরে হযরত উসমান (রা.) জামে মসজিদে জুমার নামাজের পূর্বে মুসল্লীদের উদ্দেশে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম সভাতেই আমি বলে দিয়েছি-আমি দুর্নীতি করি না, ঘুষ খাই না। আমার মন্ত্রণালয়কে আমি দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই। এ মন্ত্রণালয়ের কেউ দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে রোজা ও পূজা একইসময়ে পালিত হতে কোন সমস্যা নেই। সবাই তার নিজের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন ও প্রচার করবে। এটা সকলের নাগরিক অধিকার।’
ড. খালিদ বলেন, ‘অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রথম কাজ হলো দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। এরপর সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের কাজে হাত দিবে। এ সরকার সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী দলের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণের মাধ্যমে কাজ শেষ করবে।’
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমানে দেশের রিজার্ভ তলানীতে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় অর্থসংশ্লিষ্ট নতুন কোনো প্রকল্প গ্রহণ বা অন্য কোনো কাজে হাতে দেওয়া সম্ভব নয়। আশার কথা হলো, রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হলেই আমরা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করব।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিছু দুর্বৃত্ত হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান-ধর্মীয় উপাসনালয় ও ঘরবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে বিদেশি কিছু মিডিয়াতে প্রোপাগান্ডাও চালানো হয়েছে। তবে যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে তাদের সরকার কঠোর হাতে দমন করবে। তিনি দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।’
পরে ধর্ম উপদেষ্টা এ মসজিদে জুমার খুতবা দেন ও ইমাম হিসেবে নামাজ আদায় করেন।
টিএইচ