বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করায় জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুক পেইজে পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
ফেসবুকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের এম্বাসেডরকে ডেকেছিলাম। তাকে যা যা বলা দরকার আমরা বলেছি। সবকিছু বিস্তারিত গণমাধ্যমে বলার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করিনা তাই এই বিষয়ে কোন গণমাধ্যমে আমরা আর কোন বক্তব্য দিতে চাইনা।
শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরও গভীর হবে আসন্ন প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের মধ্যে দিয়ে এই প্রত্যাশায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই সফর বাংলাদেশের এবং জাপানের সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে বলে আশাকরি। পোস্টের শেষ অংশে ভিয়েনা কনভেনশনের ঊদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, আপনারা যদি কেউ ভুলে যান: ১৯৬১ সনের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক ভিয়েনা কনভেনশনের আর্টিকেল ৪১ এর অনুচ্ছেদ ১ কূটনীতিকদের স্বাগতিক দেশের আইন ও বিধির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের কথা স্বরণ করিয়ে দেয় এবং জাতির অভ্যন্তরীন বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত রাখে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাজধানীতে ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ‘গত (জাতীয় সংসদ) নির্বাচনে আগের রাতেই পুলিশ ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছিল বলে আমি শুনেছি। অন্য কোনো দেশে এমন দৃষ্টান্ত নেই। আমি আশা করব, এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না।’ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ও জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রেডরিক-এবার্ট-স্টিফটুং, বাংলাদেশ (এফইএস, বাংলাদেশ) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ইতো নাওকি এসব কথা বলেন।
ইএফ