তিন কারণে ২০২৩ সালে সংকট দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ। সেগুলো হলো- খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, বিদেশে দক্ষ জনবল পাঠানো, রেমিট্যান্স বাড়ানো, খাদ্য আমদানিতে উৎসকর স্বস্তিদায়ক নির্ধারণ, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়ানো এবং খাদ্য মজুত স্বস্তিদায়ক রাখা।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক রিপোর্টগুলো বিশ্লেষণ করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে সচিবালয়ে ব্রিফ্রিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সচিব জানান, সংকট কাটাতে ছয় পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হলো– খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে, বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধির উদোগ নিতে হবে, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, খাদ্য মজুত ঠিক রাখতে হবে এবং খাদ্য আমদানিতে উৎসে কর বাদ দিয়ে আমদানিকারককে সস্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি আরও জানান, সংকট মোকাবিলায় সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিভিন্ন শস্যের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের নির্দেশ দেন। সরকারপ্রধান বলেন, দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে বিদেশে। রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়টি আরও সহজ করতে হবে। নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে পাঠাতে হবে। একইসঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে, যাতে তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হয়।
প্রধানমন্ত্রী থার্ড পার্টির কাছে না গিয়ে সরাসরি বিদেশ থেকে খাদ্যপণ্য কেনার নির্দেশনা দেন।
ইএফ