শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ

চাকরি ফিরে পেতে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা। এর ফলে ভবনের ভেতরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন বাহিনীটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেল থেকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন গত ১৫ বছরের বিভিন্ন সময়ে চাকরি হারানো কয়েকশ পুলিশ সদস্য।

এক দফা এক দাবি, নির্বাহী আদেশে চাকরি ফেরতে দেয়া। বিশেষ করে অভিযোগের পর আদালতে ও বিভাগীয় তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও চাকরি হারিয়েছেন তাদের অনতিবিলম্বে চাকরি বহালের দাবি আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের।

বিকেল থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের সড়কের সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ ও স্লোগানে অবস্থান করলেও দেখা মেলেনি পুলিশ প্রধান ও ঊর্ধ্বতনদের।

চাকরিচ্যুত কনস্টেবল ফরহাদ বিশ্বাস বলেন, ২০২১ সালে বগুড়া জেলায় আমাকে ডোপ টেস্টের নামে চাকরিচ্যুত করা হয়। আদালতে মামলা করি। আদালত থেকে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলেও এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আমাকে যোগদান করতে দেননি।

তিনি বলেন, এরকম হাজারো পুলিশ সদস্য হাহাকার নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। আমাদের দাবি একটাই নির্বাহী আদেশে চাকরি ফেরত দেয়া।

আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা জানান, বিগত সময়ে বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তারা যদি চাকরি ফিরে পান তাহলে আমরা কেন পাবো না। বিশেষ করে বিভাগীয় মামলা ও আদালতের আশ্রয় নিয়ে তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় যারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন তাদের কী দোষ! তাদের তো চাকরি বহালে কোনো বাধা থাকার কথা না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের তাবেদার আইজিপি শহীদুল হক, বেনজীর, আব্দুল্লাহ আল-মামুনরা চাকরি ফিরিয়ে দেননি।

আন্দোলনরত পুলিশ কনস্টেবল মঞ্জুরুল হক বলেন, এসপিবিএনে থাকতে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তখন করোনাকাল। বাবা ও মা করোনা আক্রান্ত ছিলেন, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য আমি বাড়ি যেতে চাইলে ছুটি মঞ্জুর করেনি। বাধ্য হয়ে আমি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ছুটি ছাড়াই বাড়ি যাই। ফিরে আসার পর আমাকে সাসপেন্ড করা হয়। বিনা ছুটিতে কেন বাড়ি গেছি। সেজন্য পরে চাকরিচ্যুত করা হয়।

তিনি বলেন, চাকরি করিই পরিবারের জন্য। বিপদে যদি সেই পরিবারের পাশে থাকতে না দেয় বাহিনী সেটা তো অন্যায্য। আমি চাকরি ফেরত চাই।