বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
সোমবার (১০ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রোহিঙ্গা সংকটে রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তার আশ্বাস দিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, শিক্ষার্থীসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা ইস্যুকরণও সহজ করা হবে।
এ সময় বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদদের অঙ্গীকারের প্রতি জোর দেন সারাহ কুক।
যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশি অভিবাসীদের অবদান ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের ভূমিকার কথা স্বীকার করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন যুতসই প্রকল্পে ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবে।
সারাহ কুক বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জেরে দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়ন সহায়তাকেন্দ্রিক থেকে কৌশলগত দিকে অগ্রসর হয়েছে।
এ সময় ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক সম্পর্কের শুরুর কথা স্মরণ করেন ড. মোমেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক বিস্ময়কর উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। দু’দেশই মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের একই মূল্যবোধ ধারণ করে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ও আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) মহাসচিব এবং কাউন্সিল সদস্য পদে নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের সমর্থন চেয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
টিএইচ