পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমি দুঃখের সঙ্গে ৯/১১ টুইন টাওয়ার ধ্বংসযজ্ঞের কথা স্মরণ করছি। এ ঘটনায় ২ হাজার ৯৮৮ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন; যার মধ্যে ৬ জন বাংলাদেশের। আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আমরা আশা করি, এমন ঘটনা আর কখনও হবে না।
মোমেন বলেন, মার্কিন নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের সাম্প্রতিক আলোচনা খুবই উৎসাহজনক। এ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। সন্ত্রাস নির্মূলে তারা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৯/১১-এর হামলার ২২তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে সন্ত্রাসী হামলার কারণে কোনো বোমা বিস্ফোরণ, গ্রেনেড হামলা এবং মৃত্যুর ভয়ের ঘটনা ঘটেনি। আর এটি বাংলাদেশে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতিরই ফলাফল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যাতে আর কোনো অজুহাতে সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের কুৎসিত চেহারাটি ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠতে না পারে। সকলের এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নবম নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। বেসামরিক ও সামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করতেও একমত হয় দুই পক্ষ।
সংলাপে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা শাখার মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক-সামরিকবিষয়ক ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তাবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মীরা রাশনিক দুই পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
টিএইচ