মিয়ানমার ইস্যুতে ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে বৈঠক শেষে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেছেন, মিয়ানমারের উসকানিতে পা দিচ্ছে না বাংলাদেশ, চরম ধৈর্য্যের পরিচয় দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের বিফ্রিং শেষে এ কথা জানান তিনি। বেলা ১১টায় শুরু হয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে চলে এ বিফ্রিং।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের গোলা যাতে বাংলাদেশের ওপর না পড়ে। আমরা এমন কিছু করি নাই যাতে গোলা এসে আমাদের দেশে পড়বে। আমাদের কৃষকরা ভয় পাচ্ছে। ফসল ফলাতে পারছেন না। এসব বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের না ফিরিয়ে আঞ্চলিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফয়দা লুটতে চায় মিয়ানমার।
এদিকে সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমার আরাকান আর্মির পাশাপাশি রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন আরসার ওপর দায় চাপিয়েছে দেশটি। বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য এ দুপক্ষ মিলে চলমান পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের অবস্থান এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জ ফিউ উইন। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক পেজে বৈঠকের বিষয়টি এভাবে তুলে ধরেছে।
জ ফিউ উইন জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি ও আরসার পরিখা এবং ঘাঁটি রয়েছে। এমন তথ্য গত ৭ সেপ্টেম্বর কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছিল মিয়ানমার। বৈঠকে সে বিষয়টি তুলে ধরেন জ ফিউ উইন ওই ঘাঁটিগুলোর বিষয়ে তদন্তের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া এবং সেগুলো গুঁড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর দূতদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে।
টিএইচ