শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি: প্রধানমন্ত্রী

আমি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবারও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। কখনোই ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাই না আমরা।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলের নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন আইন পাস হয়। তারপর সেই আইনের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। ফলে বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। বর্তমান কমিশনের প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতাও রয়েছে। এ জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের ভিত্তি নেই। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্ম তো ক্যান্টনমেন্টে হয়েছে।

আলোচনায় রুশ-ইউক্রেইন যুদ্ধ ও রোহিঙ্গা ইস্যুও স্থান পায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের উচিৎ এই যুদ্ধ বন্ধ করতে উদ্যোগ নেওয়া। কারণ এর ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ও নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধ কখনোই মানব জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।’

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা হিসেবে দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এবং মিয়ানমার থেকে বিপুল সংখ্যক নাগরিক আসার কারণে স্থানীয়রা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মাদক পাচার, মানব পাচার, সন্ত্রাসবাদ ও আন্তঃসহিংসতার মতো নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

টিএইচ