আগামী বছর মার্চের মধ্যেই বাংলাদেশে ফেরানো হবে অর্থ পাচারকারী এন আর বি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে।
বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় ২০২৩ এর মার্চের মধ্যে পি কে হালদারকে দেশে ফেরত পাঠাবে ভারত। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) গোপন সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হাজার কোটি টাকা পাচারের দায়ে অভিযুক্ত পি কে হালদার এবং তার পাঁচ সহযোগীকে আবারও ৫৬ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) কলকাতা ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তাদের হাজির করা হলে আদালত এ সিদ্ধান্ত দেন। আগামী ১৭ নভেম্বর আবারও তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়।
ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, অভিযুক্ত প্রত্যেককেই আগামী ১৭ নভেম্বর ফের আদালতে তোলা হবে এবং ততদিন পর্যন্ত তারা কারাগারেই থাকবেন। প্রয়োজনে ইডির কর্মকর্তারা কারাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।
অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, কারাগারে থাকাকালীন অবস্থায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বা নতুন কোনো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হযনি।
এই মুহূর্তে অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ পাঁচ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছেন প্রেসিডেন্সি কারাগারে। অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
ভারত ছাড়াও তারা অন্যান্য দেশে যে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন, সেগুলো খতিয়ে দেখতে গোয়েন্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের টেলিফোনের কথোপকথন বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
দীর্ঘ ৪২ দিন পর এদিন আদালতে তোলা হয় পি কে হালদার এবং তার সহযোগীদের। গেলো ১০ আগস্ট আদালতে সাড়ে ৪ হাজার পৃষ্ঠার নথিপত্র জমা দেয় ইডি। অভিযুক্তদের জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসা বিভিন্ন তথ্য তাতে সংযুক্ত করা হয়।
এর আগে, গত ১১ জুলাই, পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জশিট জমা দেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ১০০ পাতার ওই চার্জশিটে ছিল দুটি সংস্থার নামও। ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-টু থাউজেন্ড টোয়েন্টি টু’ মামলায় গঠন করা হয় অভিযোগ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় পি কে হালদারকে। এ পর্যন্ত তাকে চারবার ইডি এবং পাঁচবার জেল হেফাজতে দেয়া হয়।
টিএইচ