সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আশ্বস্ত করে বলেন, ঈদযাত্রার বিষয়ে আমরা সভা করেছি। ঈদের আগে ও পরে ট্রাক-ভারী পরিবহণ বন্ধ থাকছে, সেটির সিদ্ধান্তও হয়েছে। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হবে।
রোববার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সওজ অংশের আওতায় নির্মিত সাতটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকার যানজট নিরসনে সিগন্যাল বাতি চালুর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। তারা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। কবে শেষ হবে সেটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলতে পারবেন। তবে কাজ যেহেতু শুরু হয়েছে, শেষ তো হবেই।
যানজট কেন কমছে না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে যানজট নিরসনে সিগন্যাল সিস্টেমটা জরুরি। প্রধানমন্ত্রীও এটি বলেছেন। সিগন্যাল সিস্টেমটা চালু হলে যানজট নিরসনে এটির ভূমিকা থাকবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতি এত নির্মম যে জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু করার কথাও আসে। সমালোচনা করার জন্য সমালোচনা করতেই হবে। একটা মেগা প্রজেক্টের কাজ কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। সেটি সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নানান সমস্যার জন্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিআরটি প্রকল্পের জন্য সেরকম দুর্ভোগ হবে না। তবে এবার ময়মনসিংহে যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। গতবারও আমরা একটি রাস্তা চালু করে দিয়েছিলাম। সেজন্য কিছুটা স্বস্তি হয়েছিল। এবার সাতটি ফ্লাইওভার চালু করে দিচ্ছি, তাতে চলাচল আরও সহজ হবে।
ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদযাত্রার বিষয়ে আমরা সভা করেছি। ট্রাক-ভারী পরিবহণ বন্ধ রাখা আগে ও পরে, সেটির সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার যেটি কাজ, সেটি তারা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাতে যানজট দূর করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। গাজীপুর কিছুটা সমস্যার কারণ ছিল। কিন্তু সেটির এবার আরও সমাধান হয়ে গেলো। এবার ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হবে।
এসময় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টিএইচ