বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন এই মুহূর্তে আন্দোলনকারী ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যের সংবাদ সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায়, নিজেদের রাজনৈতিক দল আনার চিন্তাভাবনা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি সম্পর্কে নিজের ব্যাখ্যা তুলে ধরলেন নাহিদ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বৈত প্রাধান্য কমিয়ে আনতে এবং রাষ্ট্র সংস্কার করতে নিজেদের রাজনৈতিক দল আনার চিন্তাভাবনা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর পর দ্রুত নির্বাচন ও অন্যান্য ইস্যুতে নিজেদের চাওয়া পূরণে এই দল আনা হবে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন চার সমন্বয়ক।
নাহিদের ফেসবুক পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো—
রাজনৈতিক দল গঠন আমাদের গণঅভ্যুত্থানের অভিমুখ না। এই মূহুর্তে প্রয়োজন অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, নতুন করে দেশগঠন-সংস্কার ও অভ্যুত্থানের স্পিরিট ও জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা। ছাত্র-জনতা ও অন্তর্র্বতীকালীন সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করবে।
ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আমাদের এক দফার অংশ ছিলো। সেজন্য বিস্তর কাজ ও রাজনৈতিক কার্যক্রম প্রয়োজন।
জনগণের সাথে আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রুপরেখা প্রণয়ন করতে চাই।
এই মূহুর্তে রাজনৈতিক দলগঠনের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নাই। ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের স্পিরিট রক্ষায় সামাজিক-রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে কাজ করবে এবং সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী রাষ্ট্র পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করবে।
টিএইচ