শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

এমভি আবদুল্লাহ: মালিকপক্ষের সঙ্গে জলদস্যুদের প্রথম যোগাযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

এমভি আবদুল্লাহ: মালিকপক্ষের সঙ্গে জলদস্যুদের প্রথম যোগাযোগ

৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা।

আটকের পর দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটিকে সবশেষে সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করে তারা। তারইমধ্যে জাহাজটির মালিকপক্ষের সঙ্গে সোমালিয়ার জলদস্যুদের যোগাযোগ শুরু হয়েছে। তবে এখনো কোনো মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে আমার সংবাদকে বলেন, দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তবে কোনো আলোচনা হয়নি। যেহেতু বিষয়টি স্পর্শকাতর, তাই আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটিকে সবশেষ সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করে রাখা হয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

টিএইচ