রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

‘কল্পনা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘কল্পনা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, পোশাকশ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তারের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কমনওয়েলথ প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শাহরিয়ার আলম বলেন, পোশাকশ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তার বাংলাদেশে হুমকি বোধ করছেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন যে বক্তব্য দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, কল্পনা আক্তার এ ধরনের কথা আদৌ বলেছেন কিনা, এ বিষয়ে আপনারাও তাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের অধিকার ও তাদের মানোন্নয়ন নিয়ে নতুন একটি স্মারকপত্রে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্মারকপত্র প্রকাশের পর এ নিয়ে কথা বলেছেন ব্লিংকেন। তার বক্তব্যে বাংলাদেশের শ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তারের বিষয়টি উঠে এসেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা পরবর্তী আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করবো। যদি আমার স্মৃতি ভুল না করে থাকে, তাহলে কল্পনা আক্তার বাংলাদেশে একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, ২০১০ সালে। তবে তিনি একা নন, একাধিক শ্রমিক নেতা চাকরিরত অবস্থায় আন্দোলন করায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাতে যে অরাজকতা হয়, সেটা খুবই টেম্পরারি নেচারের (অস্থায়ী প্রকৃতির)। হঠাৎ করেই এটা শেষ হয়ে যায়, আবার বন্ধও হয়ে যায়।

শাহরিয়ার আলম বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর পশ্চিমা দেশগুলোর কিছু ক্রেতা যখন কারখানাগুলোকে অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে, তখন কল্পনা আক্তারসহ আরও দুই-একজন মিলে প্রতিবাদ করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কাজেই কল্পনা আক্তার যেটা বলেছেন যে তিনি আমাদের বা অন্য কারও কাছ থেকে হুমকির শিকার হয়েছেন, এর ব্যাখ্যা আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চাইবো।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সম্প্রতি বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তারের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, আমরা কল্পনা আক্তারের মতো মানুষদের পাশে থাকতে চাই, যিনি বলেন যে তিনি এখনো জীবিত আছেন কারণ আমেরিকার দূতাবাস তার পক্ষে কাজ করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম অধিকার বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম নীতি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী যে বৈঠকে এটি বলেছেন, সেটি ছিল এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কনফারেন্স। এই বৈঠকে বাংলাদেশের ইস্যু ছিল না।

টিএইচ