কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় হচ্ছে তুমুল সংঘর্ষ। এতে এর মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দুইজন ও রংপুরে একজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড় থেকে ঢাকা কলেজের সামনের সড়ক। কোটা আন্দোলনকারী আর ছাত্রলীগের মধ্যে হওয়া এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই পক্ষের অনেকে। বিকেলে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুই যুবক নিহত হয়েছেন ওই সংঘর্ষে। মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও চলমান সংঘর্ষে মারা গেছেন তিনজন। মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে নগরের মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট এবং ষোলশহরসহ আশেপাশের এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে দুপুর থেকে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থা নেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দুই নম্বর গেট এলাকায় একটি বাস ভাঙচুর করে তারা। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। এ সময়ে দুইপক্ষের বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
এদিকে, ঢাকার বাইরে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ গেছে দেশের আরও কয়েক জেলায়। রংপুরে সকালে মহাসড়ক অবরোধ করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পুলিশের টিয়ারশেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ মারা যান। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী আগুন দেয় গাড়িতে।
এদিকে, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশের চার জেলায় (ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহী) বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
টিএইচ