ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসনসহ বিভিন্ন সেক্টরে যে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা খুব সহজ নয় বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি)।
জনগণের আকাশচুম্বী প্রত্যাশাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে দাবি করছে সংস্থাটি।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে আইসিজি বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে ‘আ নিউ এরা ইন বাংলাদেশ? দ্য ফার্স্ট হানড্রেড ডেজ অব রিফর্ম’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই মতামত জানিয়েছে।
এই প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে গেছে শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে রাজনৈতি, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, নির্বাচন কমিশন, শিক্ষাখাতসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে এই অল্পসময়ে সকল সংস্কার সম্ভব নয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে সংস্কার করে তা জনগণের সামনে দৃশ্যমান করে তুলতে হবে। তাহলে জনগণের সমর্থন ধরে রাখা যাবে।
অন্যথায়, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হবে। আর অন্তর্বর্তী সরকার এবার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ আবারও আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। অথবা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেলে দেশে সেনা শাসন শুরু হবে।
সকল পরিস্থিতি বিবেচনা করে, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল হওয়ার জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। কেননা, এই সরকার যতদিন ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইবে, ততদিন নির্বাচনের দাবি আরও তীব্র হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি।
এক্ষেত্রে, রাজনৈতিক মাঠে আওয়ামী লীগ না থাকায় বিএনপিকে হুমকি হিসেবে দেখছে আইসিজি। কেননা দেশের অতীত ইতিহাসে দেখা গেছে, নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার পন্থা অবলম্বন করেছে।
টিএইচ