রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষ অভিযানে ৪৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ডিএমপি জানায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আবাসিক হোটেল ও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। তবে কেউ যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে বাড়তি যে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে তা আমাদের নিয়মিত ডিউটির অংশ। সেখানে অতিরিক্ত কোনো কিছুই নয়, মূলত সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় আমরা সেখানে ফোর্স মোতায়েন করেছি।
তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই নয়, কেবলমাত্র যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের এ ধরনের অভিযান আগামীতে অব্যাহত থাকবে। রাজধানীবাসীর জানমালের নিরাপত্তায় নিশ্চিত করতে পুলিশ যা যা করণীয় তার সবকিছুই করবে।
অভিযান শুরুর আগে ডিসেম্বরে বিজয় দিবসসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিবসকে কেন্দ্র করেই এই অভিযান চালানোর কথা জানানো হয়েছিলো পুলিশের পক্ষ থেকে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মো. মনজুর রহমান ১ ডিসেম্বর জানিয়েছিলেন, মাঝেমধ্যেই সারা দেশে নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরই অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হবে। এ ছাড়া ডিসেম্বর মাসে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিবস রয়েছে। অভিযানে সেটাও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. হাসানুজ্জামানের স্বাক্ষর করা একটি চিঠিতে বলা হয়, পুরান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিএমএম আদালত) এলাকায় পুলিশের হেফাজত থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনা, মহান বিজয় দিবস, খ্রিষ্টানদের বড়দিন ও খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণ (থার্টিফার্স্ট নাইট) উদ্যাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে চলমান অভিযানের পাশাপাশি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ অপরাধীদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কার্যকর অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
ইএফ