ঢাকায় পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলকে মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার (০৯ মে) রাতে হোয়াইট হাউস এ মনোনয়নের কথা জানিয়েছে।
ঢাকায় অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের চেয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতেরা অনেকটা বেশিই আলোচনায় থাকেন। তাই তাদের প্রতি জনসাধারণের আগ্রহও অনেকটা বেশি।
হোয়াইট হাউসের তথ্য অনুযায়ী, ডেভিড মিলি প্রায় ১০ বছর আগে ঢাকায় মার্কিন মিশন উপপ্রধান ছিলেন। বর্তমানে তিনি চীনের বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসে অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক মিলের মনোনয়ন এরই মধ্যে সিনেটে পাঠানো হয়েছে। সিনেটে শুনানির পর মিলকে যোগ্য মনে হলে তবেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রদূত করে তাকে ঢাকায় পাঠানো হবে। মিল ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হলে বর্তমান রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
২০১৮ সালে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থনৈতিক ও ব্যবসাবিষয়ক ব্যুরোর বাণিজ্য নীতিবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হন। এর আগে তিনি নিষেধাজ্ঞা নীতি ও বাস্তবায়ন বিষয়ক পরিচালক ছিলেন।
ডেভিড মিল এর আগেও ওয়াশিংটন ডিসির ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ইউক্রেনের কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিষয়ক পরামর্শদাতা এবং অর্থনৈতিক ব্যুরোতে আর্থিক বিষয়ক অফিসের উপ-পরিচালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
হোয়াইট হাউসের তথ্য বলছে, চীন, হংকং, তাইওয়ান, গিনি ও ওয়াশিংটনে কূটনীতি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমেও তার ভূমিকা রয়েছে। তিনি ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন এবং মিনিস্টার-কাউন্সেলর পদে অধিষ্ঠিত হন। ফরেন সার্ভিস ক্যারিয়ারের আগে ডেভিড মিল মার্কিন টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি `স্প্রিন্ট টেলিকমিউনিকেশন`র কর্পোরেট ফাইন্যান্স পদে ছিলেন।
টিএইচ