শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

প্রতিশ্রুত সেবা না দিলে অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতিশ্রুত সেবা না দিলে অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

প্রতিশ্রুত সেবা না দিলে মোবাইলফোন অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শক্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘বিটিআরসিকে (বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) এক্সটার্নাল আইটি অডিট করতে হবে, ফাইন্যান্সিয়াল অডিট করতে হবে। তবেই আমরা বুঝতে পারব কেন একজন সাংবাদিক সচিব মহোদয়ের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছেন। দেখা যাচ্ছে এক মিনিট পর সচিব মহোদয় ওই পাশ থেকে বলছেন, হ্যালো হ্যালো, আবার বলবেন কী বললেন বুঝতে পারিনি। ড্রপ হওয়ার আগেই কিন্তু এ রকম হচ্ছে। একটা টেকনোলজিক্যাল এরর হচ্ছে এখানে। এ বিষয়গুলো রেগুলার প্রবলেম।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এর ফলে সময় নষ্ট হচ্ছে, অর্থ নষ্ট হচ্ছে, অ্যাটেনশন নষ্ট হচ্ছে। বিরক্তি তৈরি হচ্ছে। মোবাইল অপারেটররা বলেছেন এটা ওদের জন্যও লস। টেকনোলজিক্যাল সমস্যা হলে ওদের লস। কল ড্রপ হলো বা ড্রপ না হলেও আমি যে আমার কথা শেষ করতে পারলাম না এটার কোন ক্ষতিপূরণ আমি গ্রাহক হিসেবে পাচ্ছি কিনা। সেটার রেকর্ড বিটিআরসির কাছে থাকছে কিনা, কিংবা আমরা ওই রেকর্ড দেখিয়ে বাধ্য করতে পারছি কিনা।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমি এ ধরণের নির্দেশনাও দিয়েছি যে, এ ধরণের ঘটনা ঘটলে আমাদের লাইসেন্সিং গাইড লাইনে যা আছে, এক লাখ হোক বা এক কোটি হোক, আমাদের যা সুযোগ আছে, আমরা সেটা প্রয়োগ করা শুরু করবো। যদি তারা (মোবাইল ফোন অপারেটর) তাদের প্রতিশ্রুত সার্ভিস না দিতে পারে, তাহলে লাইসেন্সিং গাইডলাইনে যে ধরণের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে, সেটা জরিমানা হোক বা অন্য কোন সেবা সুযোগ সংকুচিত করা হোক, সেগুলো বিটিআরসিকে করার জন্য আমরা এরইমধ্যে শক্ত নির্দেশনা দিয়েছি।’

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মোবাইল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে আমরা কাঙ্ক্ষিত জায়গায় হয়তো পৌঁছাতে পারিনি। একেবারে দুর্বল বলা যায় না। পরিস্থিতি আরও উন্নয়নে আমরা এ বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করছি।’

মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড করা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মিথ্যা, গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে এটি খুব প্রয়োজন। মন্ত্রী বা এমপির যদি ভেরিফায়েড পেইজ থাকে, সেক্ষেত্রে যেগুলো ভেরিফায়েড না সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। জনগণকেও আমরা সচেতন করতে পারি যে, এটা হচ্ছে ব্লু সাইন ভেরিফায়েড পেইজ, বাকিগুলো থেকে যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বা চাচ্ছে সেগুলো আপনারা প্রত্যাখ্যান করুন। আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে বলতে পারি ভেরফায়েড পেইজ বা অ্যাকাউন্ট ছাড়া বাকিগুলো রিমুভ করেন।’

মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পেইজ বা অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করার কাজ প্রতিনিয়ত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।

টিএইচ