বাংলাদেশে চীনের কোনো ঋণ ফাঁদ নেই বলে দাবি করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেন বাংলাদেশের মোট ঋণের মাত্র ৬ শতাংশ চীনের। ঋণ ব্যবস্থাপনা, বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠনের আয়োজন ডিক্যাব টকে চীনা রাষ্ট্রদূত এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি শ্রীলংকার চেয়ে অনেক ভালো। পশ্চিমাদের বাণিজ্যিক ঋণের কারণে শ্রীলংকার এই পরিণতি। দেশটির মোট ঋণের ১০ শতাংশ চীনের।
জ্বালানি সংকট সমাধানে বাংলাদেশ চীনের সহায়তা চেয়েছে বলে জানান এই কূটনীতিক। তবে বেইজিং রফতানি করার মতো সুবিধাজনক অবস্থায় নেই বলে উল্লেখ করেন। বলেন, জরুরি পরিস্থিতি হলে অবশ্যই পাশে দাঁড়াবে চীন।
লি জিমিং বলেন, চীনের সহায়তায় নির্মিত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তির। এর ফলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না। নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে একসঙ্গে কাজ করছে ঢাকা ও বেইজিং।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনা রষ্ট্রদূত বলেন, এ সমস্যা সমাধানে চীন গভীরভাবে চেষ্টা করছে। নীরবে কাজ করে চলেছে বেইজিং। রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে। তবে সেজন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন কখনোই দেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করে না এবং কোনো গোষ্ঠীর প্রতি তাদের ঘৃণা বা বৈষম্য করার কোনো বিশেষ কারণ নেই।
’ উইঘুর মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ ভুয়া খবর (আপনারা উইঘুর মিডিয়াতে যা দেখেন)। আমি আপনাকে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। ’
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ডিকাবের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
টিএইচ