নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় বিদেশি মিশনগুলোতে সরকারের চিঠি পাঠানোর কারণ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে বিভিন্ন ঘটনার তথ্য বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশে বিদেশি মিশনগুলোকে অবহিত করেছে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে উইমেন জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (উব্লিউজেএনবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বড় কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা সবাইকে জানিয়ে রাখি। এটা নতুন কিছু নয়। স্বাভাবিক কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। আমরা কূটনীতিকদের জানিয়েছি, কারণ তারা (বিএনপি) ১৯ তারিখের পর থেকে নানা সময়ে বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে দেনদরবার করছেন। বিএনপির দেনদরবার ঠেকাতেই তথ্যগুলো জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে দেশে এবং বিদেশে, ১০ ডিসেম্বর তারিখকে তারা বেছে নিয়েছিল। ৯ তারিখ বড় কিছু দেশ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়, তালিকা তারা (বিএনপি) লাখ লাখ ডলার, পাউন্ড লবিস্টের পেছনে বিনিয়োগ করেছে। ’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘তারা (বিএনপি) আশ্বাস পেয়েছিল, নতুন করে আরো নিষেধাজ্ঞা আসবে। সেটাকে মিলিয়ে ১০ তারিখ তারা উদযাপনের আমজে বিশাল জনসভা করবে। জনগণ মনে করবে, সরকারের সঙ্গে কোনো বন্ধু নেই। এই পুরো পরিকল্পনাটা তাদের ভেস্তে গেছে। ’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, শুধু ঢাকা নয়, বিএনপির রাজশাহীর জনসভাতেও মাঠের চার ভাগের একভাগও ভরা ছিল না।
তিনি আরো জানান, নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি ছিল না। কিন্তু তারপরও বিএনপি ১০ ডিসেম্বরের তিন দিন আগেই ওই এলাকা দখল করার পায়তাঁরা করছিল।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বিএনপির আগ্রহ না থাকার কারণ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে চেতনা তার সঙ্গে বিএনপির চেতনা মিলে না।
টিএইচ