সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে মিয়ানমারে জান্তা সরকারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাত চলছে। এ কারণে বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে সোমবারও দিনভর থেমে থেমে গুলির শব্দ এবং ধোঁয়া দেখা গেছে। মিয়ানমারে ছোড়া মর্টার শেল পড়ে বাংলাদেশীদের নিহতের ঘটনাও ঘটেছে।
নিরাপত্তার কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকার ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসির পরীক্ষাকেন্দ্র সোমবার বাতিল করা হয়েছে। এখন তিন কিলোমিটার দূরের দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
সূত্র বলছে, রোহিঙ্গারা যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে টেকনাফের নাফ নদীতে দ্রুতগতির নৌযান নিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের। এ ছাড়া গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নূরে আলম মিনা ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এরপর ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
অন্যদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রের ৪৬৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী। নিরাপত্তার কারণে কেন্দ্রটি সরিয়ে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরের দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিদ্যালয় দুটি হলো ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রটি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মিয়ানমার সীমান্ত। কেন্দ্রটিতে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়, কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চবিদ্যালয় ও কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
টিএইচ