শীতের হাওয়া হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছে। প্রায় পুরো বাংলাদেশ জুড়েই এখন কম-বেশী শীতের দাপট। আট জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। রাজধানী ঢাকায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গতকাল।
সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীবাসী দু’দিন পর বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১ টার দিকে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা পেয়েছেন। গতকাল কুয়াশা কমলেও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
তবে আগামীকাল শনিবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে, আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, পাবনা, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল, ফলে এসব জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বইছিল।
অন্যদিকে রংপুর ও বগুড়া জেলায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কিছুটা ওপরে ছিল, আরো আটটি জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল, এই ১০ জেলায় তাপমাত্রা কমলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে সর্বোচ্চ মাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে, দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, কোথাও কোথায় এটি দুপুর পর্যন্ত বিদ্যমান থাকতে পারে।
দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসের কারণে কুড়িগ্রামে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে দিনমজুর, ছিন্নমূল ও হতদরিদ্ররা পড়েছে ভীষণ কষ্টে, প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় রাতের বেলা হাড়-কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে যাচ্ছে অনেকেই, অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
টিএইচ