রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের একটি স্পা সেন্টারের ভবন থেকে পড়ে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- স্পা সেন্টারের মালিক হাসানুজ্জামান ওরফে হাসান, তার স্ত্রী ও স্পা সেন্টারের ম্যানেজার সাইনুর আক্তার পায়েল ও ফ্ল্যাটের মালিক এ টি এম মাহাবুবুল আলম।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসিব।
তিনি বলেন, গুলশানের স্পা সেন্টারে অভিযানের ঘটনায় ডিএনসিসির প্রসিকিউশন অফিসার (অঞ্চল-৩) আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মামলার অভিযোগের বিষয়ে এসআই হাসিব বলেন, ‘অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধভাবে অনৈতিক উপায়ে লাভবান হওয়ার জন্য পতিতালয় চালাচ্ছিলেন। অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, সে বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
ডিএনসিসির অভিযানে আটক সাত নারীর বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিএমপির অধ্যাদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গুলশান থানার এ উপ-পরিদর্শক আরও বলেন, তবে স্পা সেন্টার থেকে লাফিয়ে ওই তরুণীর নিহত হওয়ার ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যু হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে তার মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হবে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গুলশানে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বুধবার (১১ জানুয়ারি) অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ সময় গুলশান ২ এর ৪৭ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে অবৈধ স্পা সেন্টারের সন্ধান পাওয়া যায়।
ওই বহুতল ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে ফারজানা আক্তার (২০) নামে এক তরুণী নিহত হয়েছেন। এসময় অজ্ঞাতনামা আরও এক নারী লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। সেখান থেকে ৭ জনকে আটকও করা হয়।
টিএইচ