বিএনপি-জামায়াতের দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধেও সদরঘাটের লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে ৷ সকাল থেকেই চাঁদপুরগামী তিনটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে৷ তবে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অবরোধে যাত্রীর চাপ নেই বললেই চলে৷
রোববার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, অন্য সময়ে সদরঘাটের যাত্রীর চাপ থাকলেও এখন হাতেগোনা কিছু যাত্রী রয়েছেন৷ যেসব যাত্রী অবরোধেও লঞ্চে পাড়ি জমাচ্ছেন তাদের মধ্যেও আতঙ্ক কাজ করছে৷
লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে৷ তবে যেসব রুটে আগে নিয়মিত ২-৩টি লঞ্চ চলতো সেসব রুটে হয়তো ১টি চলবে৷ আসলে লঞ্চ কতগুলো চলবে সেটা নির্ভর করছে যাত্রীর ওপর৷
তিনি বলেন, সকাল থেকেই বরিশাল, ভোলা, লালমোহন, চরফ্যাশন, চাঁদপুরসহ নিয়মিত রুটের সকল লঞ্চগুলোই ঢাকা এসেছে৷ আজ বরিশাল থেকে দুটি লঞ্চ ছেড়ে আসছে৷ ভোলার ইলিশা থেকে ৪টি ছেড়ে আসছে ৷
চাঁদপুরগামী যাত্রী লিমন রহমান বলেন, জরুরি প্রয়োজনে চাঁদপুর যাচ্ছি৷ রাস্তায় অনেক ভোগান্তি৷ গাড়ি নেই। আগে চাঁদপুরে কিছুক্ষণ পর পর লঞ্চ পেতাম কিন্তু এখন পাচ্ছি না৷ কখন লঞ্চ ছাড়বে তার ঠিক নেই৷
এদিকে লঞ্চ মালিকরা বলছেন, এমনিতেই পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ৬০ শতাংশের অধিক লঞ্চে যাত্রী কমে গেছে। তখন থেকেই প্রতিটি ট্রিপে অনেক টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। এরপর উপায় না পেয়ে গত ১০ আগস্ট থেকে কিছুটা লোকসান কমাতে রোটেশন পদ্ধতি চালু করে লঞ্চ মালিকরা।
টিএইচ