শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

হাসিনা সরকার উৎখাতে ‘মার্কিন-চীন প্রভাব’ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাসিনা সরকার উৎখাতে ‘মার্কিন-চীন প্রভাব’ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া

ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।

এদিকে রাজনৈতিক ও পটপরিবর্তনের ঘটনায় গুঞ্জন-জল্পনায় উঠে আসছে যুক্তরাষ্ট্র-চীনসহ বিভিন্ন দেশের প্রভাবের কথা। এমন অবস্থায় শেখ হাসিনাকে উৎখাতের পেছনে ভূমিকা রাখা গণআন্দোলন ও বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল না। এ ছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ও আগ্রহী তারা।

স্থানীয় সময় সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এরই মধ্যে একমাস পার করেছে। গত ৫ আগস্ট ও তার আগে অস্থিরতার পর যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করছে? এ ছাড়া, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে চীনা প্রভাব ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করে এবং এই অঞ্চলে কোনো কৌশলগত উদ্বেগ আছে বলে মনে করছে কি না?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘দেখুন, আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত এবং আগ্রহী। কারণ এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।’

এ সময় বেদান্ত প্যাটেলের কাছে সাংবাদিকরা আরও জানতে চান, কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। যদিও ভারত ঐতিহাসিকভাবেই ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল, এই অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি সেই রিপোর্টগুলো দেখিনি। তবে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, সেগুলো সত্য নয়। এই কারণেই হয়তো আমি সেসব রিপোর্ট দেখিনি।’ 

টিএইচ