নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে লুণ্ঠিত মালামালসহ ৭ ডাকাত ও তাদের সহযোগী জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি এলজি, ১টি পাইপগান, ২টি কিরিচ, ৩টি ছোরা, ১টি গ্রিল কাটার, ১টি শাবল এবং ডাকাতির সময় লুণ্ঠিত ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, সুধারাম থানার আন্ডারচর ইউনিয়নের ডাকাত সর্দার মো. কামাল, লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার সবুজ গ্রামের মো. শামীম, রামগতি থানার সুজন গ্রামের মো. রায়হান, ভোলা জেলার ফুলকেইচ্যা গ্রামের মো. মিরাজ, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার নবীগঞ্জ বাজার এলাকার মো. শরীফ, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর মনসা গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিন, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার ইসলামগঞ্জ এলাকার মো. সালাউদ্দিন সবুজ এবং একই থানার চরজগবন্ধু গ্রামের শ্রাবণ স্বর্ণ শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. হাসান ওরেফ রিপন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের লালপুর এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বেগমগঞ্জ উপজেলায় কিছু ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত সর্দার কামালের নাম উঠে আসে। পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত কামাল ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে। ডাকাত কামালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, লুণ্ঠনসহ ১৬টি মামলা আছে।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা নেয়া হয়েছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়। স্থানীয় এজেন্ট রায়হানের তথ্যের ভিত্তিতে তারা চট্টগ্রামে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করত। পরে ডাকাতি করে কামাল ডাকাতদল নিয়ে চট্টগ্রাম চলে যেত।
টিএইচ