সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

অভয়নগরে সরিষার বাম্পার ফলনে আশা কৃষকদের

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি

অভয়নগরে সরিষার বাম্পার ফলনে আশা কৃষকদের

যশোরের অভয়নগর উপজেলার মাঠজুড়ে হলুদের ঢেউ। উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের। 

উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলার ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছিলো। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৬০ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষার চাষ করেছেন চাষীরা। যা ইতোপূর্বেও সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় সরিষার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ১১০ টন। 

কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনুকূল আবহাওয়া আর যথাযথ পরিচর্চার কারণে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঘ মাসের শুরুতে ক্ষেত থেকে সরিষা তোলা শুরু হবে। অন্য ফসলের তুলনায় সরিষার উৎপাদন খরচ কম। বাজারে সরিষার ভালো দাম থাকায় চাষিরা সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। 

উপজেলার আবাদি অনাবাদি ২ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা সাধারণত ছয়টি জাতের সরিষা আবাদ করে থাকে। সেগুলো হচ্ছে উচ্চফলনশীল বিনা সরিষা ৪, বিনা-৯, বিনা-১১, সরিষা বারী-৯, বারী-১৪, বারী-১৫, বারী-১৭, বারী-১৮, বুলেট, টরি-৭ ও পাঞ্জাবজটা জাতের সরিষা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ফসলের মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে। মাঠে পরিচর্চার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়া, কৃষি বিভাগের প্রণোদনা ও তদারকি এবং কৃষকদের ঐকান্তিক চেষ্টায় এবার উপজেলায় সরিষা চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। 

উপজেলার সবুজবাগ গ্রামের সরিষা চাষী কামাল হোসেন জানান, এবার সরকারি সাহায্য সহযোগিতায় ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। আশা করছেন এবার বাম্পার ফলন পাবেন। পাঁচুড়িয়া গ্রামের আজিজুর বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ফলন অনেক বেশি। দামটাও ভালো পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা তার। নজরুল ইসলাম মল্লিক বলেন, সবিন তেল আমাদেরকে আমদানি করতে হয়। আমদানি র্নিভরশীল না হয়ে দেশে খাদ্য তেল সরিষা রোপণ করলে আমাদের চাহিদা মিটবে। 

ব্লক সুপারভাইজার অশোক কুমার পাল বলেন, গত মৌসুমে এ ব্লকে ২০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল। এবার বাড়িয়ে ৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হচ্ছে। চাষীরা এখন সরিষা চাষে ঝুকছেন। 

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, এ উপজেলায় গত বছরে আবাদী জমি ছিল ১২শ হেক্টর। সেখানে এবার চলতি বছরে আবাদী এরিয়া দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১০ হেক্টর। বারী সরিষা যে জাত আছে। সেটাতে তেলের পার্সেন্ট বেশি। এই বারী সরিষা জাতটি কৃষকরা রোপণ করছেন বেশি। 

বিগত বছরে ছিল ৬৮৫ হেক্টর। বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১৫শ ৭০ হেক্টর। ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরকারি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদেরকে বীজ, সার, কীটনাশক দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। তেলজাতী উৎপাদন আমরা দ্বিগুন করবো। ফলে এবার অভয়নগরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে সরিষার রেকর্ড আবাদ হয়েছে। ফলনও রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছি।

টিএইচ