আয়শা ছিদ্দিকার মা রুমি আক্তার অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবন-জিবিকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। মা রুমি আক্তারের স্বপ্ন তার মেয়ে আয়শা ছিদ্দিকা পড়াশোনা করে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশের কল্যাণে অবদান রাখবে।
২০২৩ সালের স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় আয়শা ছিদ্দিকা জিপি-এ গোল্ডেন-৫ পাওয়ার গৌরব আর্জন করেছে। মায়ের বুকের লালিত স্বপ্ন পূরণ করতে চায় আয়শা ছিদ্দিকা। কিন্তু এ শিক্ষা লাভের অর্থ যোগানের ভাবনা কুড়ে-কুড়ে খাচ্ছে মেধাবী শিক্ষার্থী আয়শা ছিদ্দিকাকে। তাহলে অর্থের অভাবে লেখাপড়া থেকে ঝরেপড়বে মেধাবী শিক্ষার্থী আয়শা ছিদ্দিকা।
সরেজমিন জানা গেছে, নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গোবড়ার ডাঙ্গ এলাকার ভূমিহীন মৃত আইয়ুব আলীর মেয়ে আয়শা ছিদ্দিকা পঞ্চপুকুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২৩ সালে স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় জিপি-এ গোল্ডন-৫ এর গৌরব আর্জন করে।
মেধাবী শিক্ষার্থী আয়শা ছিদ্দিকা সংবাদকর্মীদের বলেন, আমার বাবা একজন গার্মেন্টকমী ছিলেন, তার মুত্যুর পর আমার মা প্রতিবেশীদের বাড়ি-বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে জীবন-জিবিকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। খেয়ে-না-খেয়ে সরবকারের দেয়া বিনামূল্য বই ও উপবৃত্তি পেয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের লেখাপড়া শেষ করতে পেরেছি।
কিন্তু উচ্চশিক্ষা লাভে অর্থের যোগ কোথা থেকে আসবে এ চিন্তা-ভাবনা আমাকে সারাক্ষণ কুড়ে-কুড়ে খাচ্ছে। আমি উচ্চশিক্ষা লাভে মানবতার মা ও শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদান কিংবা কোনো হূদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে না এলে মায়ের স্বপ্ন আর আমার উচ্চশিক্ষা লাভের আশার গল্প আলো-আধাঁরের মিলিয়ে যাবে।
আয়শা ছিদ্দিকার মা রুমি আক্তার বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আমার তিনটি কন্যা সন্তানের ভরনপোষণ কিভাবে চালাবো এমনটি ভেবে কুল-কিনারা পাচ্ছিলাম না। অন্যের জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘরে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে প্রায় সাতদিন খেয়ে না খেয়ে দিন কেটেছে।
সন্তাদের মুখে একমুঠো ভাত তুলে দিতে প্রতিবেশী সচ্ছল ব্যক্তিদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরে ঝিয়ের কাজ করে যাচ্ছি। এ চলার পথ কবে শেষ হবে জানি না।
টিএইচ