ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলার অন্যতম আসামি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও শহর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকতের ঘনিষ্ট সহযোগী, সাইফুল ইসলাম জীবন (৩৫)কে তিনটি মামলার জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সাইফুল ইসলাম জীবন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন (বহিস্কৃত)। তিনি ফরিদপুর শহরতলীর বনগ্রামের মাজেদ মল্লিকের ছেলে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালতে জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার পর সাইফুল ইসলামকে জেলা করাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২ অক্টোবর) জেলা ও দায়রা জজ আকবর আলী শেখের আদালতে দুটি এবং অতিরিক্ত জেলা জজ-২ এর শিয়াবুল ইসলামের আদালতে একটিসহ তিনটি মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়। তিনটি মামলাতেই তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন আদালত। বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এ জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ এনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকার কাফরুল থানায় রুবেল-বরকতের যে মামলা করেন তাতে অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাইফুল ইসলাম জীবন। তার বিরুদ্ধে ছোটন হত্যা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরীর ওপর হামলা ও কুপিয়ে জখম করা, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক দীপক মজুমদারের ওপর হামলা ও কুপিয়ে জখম করা এবং বিআরটিসির ম্যানেজার দুলাল লস্করের করা চাঁদাবাজির তিনটি মামলায় সাইফুল ইসলামের জামিন নাকচ হয়েছে।
সাইফুল ইসলামের আইনজীবী শফিক মুন্সী জানান, প্রথমে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে একটি মামলার শুনানিতে তার জামিন নাকচ করা হয়। পরে জেলা জজ আদালতে অন্য দুটি মামলার শুনানিতে জামিন নাকচ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, মানি লন্ডারিং মামলাসহ বাকি মামলাগুলোতেও সাইফুল ইসলামকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে। ২০২০ সালের ১৬ মে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লাবাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ১৮ মে মামলা করেন সুবল সাহা।
মামলার সূত্র ধরে ওই বছর ৭ জুন ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে রুবেল-বরকতসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন সাইফুল ইসলাম জীবন।
কেএস