ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে এক লাখ আট হাজার আটশ কেজি মাছ ভারতের ত্রিপুরায় রপ্তানি হয়েছে। যা এ বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি। আড়াই ডলারে কেজিতে যার মূল্য ২ লাখ ৭২ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটি ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই মাছ রপ্তানি শুরু হয়, যা অন্য কয়েকদিনের চেয়ে একটু আগেভাগে। ভারতীয়দের অনুরোধের প্রেক্ষিতে একটু তাড়াতাড়ি মাছ পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশিদের আগে থেকে জানিয়ে দেন যে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) যেন তাড়াতাড়ি মাছ পাঠানো হয়। কেননা, আমদানি-রপ্তানি বিষয়ে তাদের একটি সভা আছে। ওই সভা থেকে কিছু বার্তা দেয়া হতে পারে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা অবশ্য মনে করছেন, আর যাই হোক হুট করে মাছ আমদানি বন্ধ করবে না। কেননা, ওপারের সেভেন সিস্টার্স বলে খ্যাত সাতটি রাজ্যে বাংলাদেশের মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এদিকে মাছ আমদানিতে আগ্রহ থাকলে ওপারে বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
গত সোমবার ত্রিপুরার হোটেল মালিকদের এক সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এর আগে আইএলএস নামে একটি হাসপাতাল বাংলাদেশিদেও চিকিৎসাসেবা দিবে না বলে ঘোষণা দেয়।
চিন্ময় দাস গ্রেপ্তার ইস্যুতে দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি চলছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারতের ত্রিপুরাসহ বিভিন্নস্থানে নিয়মিত বিক্ষোভ হচ্ছে। ভারতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ তুলে সেদেশে বাংলাদেশি পতাকা পুড়িয়ে দেয়া হয়। সর্বশেষ গত সোমবার ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনারের আগরতলার কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভারতের পক্ষ থেকে অবশ্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য ব্যবসায়ী রতন মিয়া জানান, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই মাছ যাওয়া শুরু হয়েছে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা আছে জানিয়ে ত্রিপুরার ব্যবসায়ীরা আগেভাগে মাছ দিতে বলেন। তিনি জানান ছয়টি বিলে এক লাখ আট হাজার ৮০০ কেজি মাছ রপ্তানি হয় ভারতের ত্রিপুরায়।
টিএইচ