মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

আগৈলঝাড়ার ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতমের কৃত্রিম হাত তৈরি 

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি  

আগৈলঝাড়ার ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতমের কৃত্রিম হাত তৈরি 

বরিশালের আগৈলঝাড়ার ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম পাল, রোবটিক আর্ম বা মানব দেহে সংযোজনের জন্য কৃত্রিম হাত তৈরি করে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ মেলায় প্রদর্শন করেন। এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম বরিশাল অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। 

প্রীতম আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের শিহিপাশা গ্রামের বাসিন্দা গত ২৯ জানুয়ারি বরিশাল সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিত ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ মেলায় কৃত্তিম হাত তৈরী করে তা প্রদর্শন করে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে প্রীতম। 

প্রীতমের এই সাফল্যর জন্য বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিথীকা সরকারের স্বাক্ষরিত সনদপত্র তার হাতে তুলে দেন অতিথীরা।

ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম তার এই সাফল্যের জন্য দেখা স্বপ্নের পরিকল্পনা নিয়ে জানায়, হোস্টেলে থেকে তার বাবার কাছ থেকে আনা পড়ালেখার খরচ থেকে কিছু অর্থের সঞ্চয় করে প্রথমে এই উদ্ভাবনী কাজে মনোযোগ দেয় সে। কালক্রমে উদ্ভাবনী বিষয়টি তার সহপাঠী ও বাবাও জানতে পারে। বাবা তাকে উৎসাহিত করায় মাঝেমধ্যে বাবার কাছ থেকেও চেয়ে নিত অর্থ। নিজের সঞ্চয় ও পরিবারের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় শুরু করে এই রোবটিক আর্মের পিছনে। 

শিক্ষার্থী প্রীতম জানায়- বিভিন্ন দুর্ঘটনায় দেশসহ সারা বিশ্বে অনেক লোককে তাদের হাত হারাতে হয়। বেঁচে থাকার জন্য বাকী জীবন তারা কর্মহীন হয়ে পরে। গলগ্রহ হয় অন্যর উপর। এমন মানুষের জন্যই তার আবিষ্কৃত কৃত্তিম হাত মানবদেহে সংযোজন করা যেতে পারে। মানবদেহে এই কৃত্তিম হাত সংযোজন করলে যেখানে মানুষের হাত পৌঁছানো সম্ভব নয় এমন ভারী যান্ত্রিক স্থানেও এই কৃত্তিম হাত অনায়াসে কাজ করতে পারবে। 

দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তিরা বিদেশ থেকে ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ করে কৃত্তিম হাত আমদানি করে তার সংযোজন করে আসছেন। তবে ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতমের উদ্ভাবিত কৃত্তিম হাত তৈরিতে খরচ হয়েছে ২০ থেকে ৩০  হাজার টাকা।

প্রীতমের বাবা ইউপি সচিব গৌতম পাল জানান, তার ছেলের উদ্ভাবন নিয়ে তিনি আনন্দিত। মানব কল্যাণে কাজ করায় ছেলের আর্থিক চাহিদা পুরণ করে আসছেন তিনি। তবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা পেলে পড়াশুনার পাশাপাশি প্রীতম তার উদ্ভাবনীতে আরও সাফল্য পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করে সকলের সাহায়-সহযোগীতা প্রার্থনা করেন তিনি।  
    
টিএইচ