সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তা কাজে আসেনি ৫০ শষ্যা বিশিষ্ট জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে রোগীদের। নিরুপায় হয়ে অনেক রোগী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডা. আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালের ১ জুলাই আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেছেন।
মাত্র পাঁচ মাস তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিয়ে ২০১২ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন। একইভাবে ২০১৪ সালের ৮ অক্টোবর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেছেন ডা. সোমা হালদার। এক বছর কর্ম পালনের পর ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর থেকে তিনিও অনুপস্থিত রয়েছেন। সূত্রে আরও জানা গেছে, গতবছরের ২৫ নভেম্বর হাসপাতালে যোগদান করেছিলেন ডা. শাহানা রহমান। গত ৮ মাস ধরে তিনি হাসপাতালে আসছেন না।
দীর্ঘদিন থেকে ওই তিনজন চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকলেও তাদের জায়গায় কোনো নিয়োগ হচ্ছে না। ফলে প্রতিনিয়ত রোগীদের সেবাদান ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বিপাকে পরেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেন, আবু বকর সিদ্দিক ও সোমা হালদারকে একাধিকবার কর্মস্থলে যোগদানের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এখনও কাজে ফেরেন নি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান। এছাড়া ডা. শাহানা রহমানকে কাজে যোগদান করতে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসকেও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতি মাসেই চিকিৎসকদের তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেই হিসেবে মন্ত্রণালয় বিষয়টি সম্পর্কে জানে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী এক চিকিৎসকের চাকরি হয়তো আর নেই। বাকি দুজনের মধ্যে একজন বিদেশে; অন্যজন কোথায় জানি না।
চিকিৎসক নিয়োগ সম্পর্কে তিনি বলেন, পদগুলো খালি না হওয়া পর্যন্ত পদায়ন সম্ভব না। ফলে নতুন করে চিকিৎসক পেতে সময় লাগবে।
টিএইচ