সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

আটঘরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় কমেছে অবৈধ মাটিকাটা 

আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি

আটঘরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় কমেছে অবৈধ মাটিকাটা 

গত তিন মাসে বারবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কারণে আটঘরিয়া উপজেলা ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে পুকুর খনন, মাটিকাটা ও মাটি বিক্রয়ের প্রবণতা কমেছে। 

চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩ মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহারুল ইসলাম। তার তৎপরতার কারণেই মার্চের শেষদিক থেকে ভেকু দিয়ে এই অবৈধ মাটিকাটা অনেকাংশেই বন্ধ হয়ে গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছর গত আড়াই মাসে আটঘরিয়ায় ১৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২৪টি মামলা, ১৬ জনকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং ৭ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১ জনকে অর্থ ও কারাদণ্ড উভয় শাস্তি দেয়া হয়।

আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধ মাটিকাটা ও মাটি বিক্রি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, মেডিকেলে ও ডেন্টাল আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইনের ধারা এবং দণ্ডবিধি মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহারুল ইসলাম ভিন্ন ভিন্ন দিনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এ শাস্তি প্রদান করেন। এছাড়াও গত ১১ মার্চ একটি মোবাইল কোর্টে ভেকু মেশিনের ব্যাটারি জব্দ করে তা নিলামে বিক্রি করা হয় বলে জানা যায়। 

ইতোমধ্যে মাঝপাড়া ইউনিয়নের শত শত বিঘা জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। পুকুর খননের ফলে বার্ষা ও বর্ষণের দিনে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং ফসলহানি ঘটে। এরই প্রভাবে পাশের চাঁদভা ইউনিয়নে ব্যাপকভাবে মাটিকাটা বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেল জরিমানা করায় উপজেলার পশ্চিমদিকের মাটি ব্যবসায়ীদের মাটিকাটা অনেকাংশেই কমেছে এ কারণে নেতাদের কেউ কেউ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ওপর নাখোশ।

তবে ক্ষমতাসীন দলের কোন কোন নেতার সমর্থক মাটিখেকোরা তাদের কৌশল বদলিয়ে ইদানিং উপজেলার পূর্ব দিকের প্রত্যন্ত এলাকা লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নকে বেছে নিয়ে মাটিকাটার মহৎসব চালাচ্ছে বলে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো. রেজাউল করিম অভিযোগ করেন। 

তিনি বলেন, এসব মাটি ব্যবসায়ীরা যে হারে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি শুরু করেছে তা বন্ধ না হলে আবাদি জমির অভাবে অদূর ভবিষ্যতে খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে। অপরদিকে খননকৃত পুকুরের আশেপাশে স্বল্প জমির মালিকেরাও আবাদ করতে না পেরে নামমাত্র মূল্যে জমি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে।

টিএইচ