হাট-ঘাট দখল আর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি সংঘর্ষে নিহত না হলেও আহতদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
গত মঙ্গলবার মিরপুর উপজেলার ঈগল চত্বরে (মিরপুর বাজারে) বিএনপির প্রতিপক্ষরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বানকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
এসময় সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বানকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরে সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। মিরপুর থানার ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিবদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান, আব্দুস সালাম চঞ্চলকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে মিরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আলী, মোহাম্মদ আলী জিহাদ, সুমন ও আলতাফ হোসেন।
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি মিরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আলী বলেন, আমার বড় ভাই ভাগ্নিসহ আমাদের ৭জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. তৌছিফুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মনে হচ্ছে তারা শঙ্কা মুক্ত।
মিরপুর থানার ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
অপর দিকে বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাহেবনগর, মির্জানগর এলাকার পদ্মা নদীর বালি ঘাট দখল নিয়ে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকেই বিভিন্ন ক্লিনিকে ও গ্রাম্য চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়েছে। এ ব্যাপারে মিরপুর থানায় মামলা হলেও এখনো কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মিরপুর উপজেলায় একের পর এক হাট ঘাট দখল আর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ যেন থামছেই না। এতে করে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মিরা রয়েছে আতংকে।
টিএইচ