শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post
বছরে দুই কোটি আয়

আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি কাউনিয়া রেলওয়ে জংশনে

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি কাউনিয়া রেলওয়ে জংশনে

উত্তারাঞ্চলের রেল যোগাযোগের নাভী হিসেবে পরিচিত কাউনিয়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে স্বাধীনতার ৫১ বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। 

সরেজমিনে রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে বৃটিশ আমলে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে স্টেশনের মূল কার্যক্রম, নেই আধুনিক গণ শৌচাগার, নামমাত্র যাত্রী বিশ্রামাগার যা অপরিচ্ছন্ন, বিশুদ্ধ পানির অভাব, বিদ্যুৎ চলে গেলে ভূতুড়ে এলাকায় পরিনত, টোপলাটানা পাটির উপদ্রপ, মুসাফির খানা হকারের দখলে, অভারব্রিজ অপরিচ্ছন্ন, রেল লাইনে বিভিন্ন জায়গায় পাথর নেই বললেই চলে, প্লাটফমসহ স্টেশন চত্তরে অবাধে পশুর চলাফেরা, ডিজিটাল যুগেও নেই টিকিট বিক্রীর ইন্টারনেট সুবিধা তাই হরহামেশাই টিকেট চলে যাচ্ছে কালোবাজারে। 

এই স্টেশনে দিন রাতে ২৪টি ট্রেন যাতায়াত করে, মালামাল ও যাত্রী পরিবহনে বছরে প্রায় দুই কোটি ৫০ হাজার টাকা আয় হলেও স্টেশনটি স্বাধীনতার ৫১ বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। আধুনিক সুযোগ সুবিধা না বাড়লেও দিন দিন বাড়ছে যাত্রী দুর্ভোগ আর নাগরিক বিড়ম্বনা। 

জনবল সংকট নিত্যদিনের। রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হোসনে মোবারক জানান ১০টি আন্তঃনগর, ৮টি মেইল, ৬টি লোকাল ট্রেন চলে এই রেলজংশন দিয়ে। অথচ রেলওয়ে জংশন স্টেশনটিতে চরম জনবল সংকট রয়েছে। ঝুকিপূর্ণ ভবনে চালাচ্ছি কার্যক্রম।

 শুধু তাই নয় বর্ষাকালে বৃষ্টির কারণে স্টেশনের মূল্যবান কাগজ পত্র নষ্ট হবার উপক্রম হয়ে পড়ে। নানা সমস্যা থাকলেও গত অর্থবছরে স্টেশন থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা আয় হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে অনেক বার বলেছি কোন কাজ হয়নি। 

স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে স্টেশনের চাল ও ছাদ দিয়ে টপ টপ পানি পড়ে। এতে করে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। আন্তঃনগর ট্রেনের অপেক্ষমান যাত্রী সাব্বির হোসেন জানান টিকেটের কালেবাজারি তো রয়েছেই সেই সাথে রয়েছে নেশা খোরদের উৎপাত। যাত্রীদের অভিযোগ, গণ শৌচাগার না থাকায় মহিলা যাত্রীদের বিড়ম্বনার শেষ নাই। 

একটি ১ম শ্রেণির ওয়েটিং রুম থাকলেও কোন আয়া নেই সেখানে। পরবর্তীতে ২য় শ্রেণির একটি ওয়েটিং রুম তৈরি করা হলেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে তা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ২জন সুইপার কাগজে কলমে থাকলেও তাদের কাজে দেখা যায় না। 

খাবার পানির জন্য দুইটি টিউবয়েল থাকলেও অধিকাংশ সময় থাকে নষ্ট। রেলওয়ে মেডিকেলের অস্তিত্ব অনেক আগেই বিলিন হয়ে গেছে, ফলে ট্রেনে কাটা রোগি ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোয়াটারগুলো বিলুপ্ত প্রায়। 

স্টেশন মাস্টার হোসনে মোবারক জানান, এ স্টেশনে ৩৭জন স্টাফের বিপরীতে আছে মাত্র ২৫ জন। সমস্যা আছে ধীরে ধীরে উন্নয়নও হচ্ছে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছে। এর মধ্যে আপনারা জানেন যে পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত ডুয়েল গেজের সমিক্ষা হয়েছে কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ার কথা যেখানে স্টেশনটি আধুনিকায়নের বাজেট ধরা আছে।

টিএইচ