শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

আবারো ক্ষতির মুখে ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু ব্যবসায়ীরা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

আবারো ক্ষতির মুখে ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু ব্যবসায়ীরা

উত্তরের কৃষিপ্রধান জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি প্রায় সব রকমের ফল উৎপাদনের জন্য উপযোগী। এখানকার আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ হওয়ায় মৌসুমি ফল ছাড়াও অন্য ফলও হয় বেশ ভালো। তবে অনাবৃষ্টি ও তীব্র তাপদাহে আবারো ক্ষতির মুখে পড়ছে জেলার লিচু বাগানি ও ব্যবসায়ীরা।

গত বছর দফায় দফায় শিলা বৃষ্টির একটা বড় প্রভাব পড়েছিল লিচুর ওপরে। লিচু ঝড়ে পড়ায়  স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল বাগান ব্যবসায়ীদের। এ বছর জেলার লিচু বাগানগুলোতে ফলন ভালো এসেছে। 

গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের স্বপ্ন দেখেছিল বাগান মালিক ও লিচু ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তীব্র তাপদাহে স্বপ্নের লিচুতে দেখা দিয়েছে তাপের ক্ষত। এ ক্ষত লোকসানের শঙ্কা বাড়াচ্ছে আবারো।

সদর উপজেলার মুন্সিরহাট বাগান বাড়ি, আকচা মুন্সিপাড়া, হরিহরপুর, কালাপাহার, নারগুন কহরপাড়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বড় বাগান ঘুরে দেখা গেছে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে লিচুর আকৃতি এখনো অনেক ছোট। 

এরই মধ্যে তীব্র রোদের কারণে অধিকাংশ লিচুর  চামড়া পুড়ে গেছে। কিছু লিচুর আকৃতি বড় হতেই সে পোড়া চামড়া ফেটে যাচ্ছে। ফলে এবারও লিচুতে বিপর্যয় ও লোকসানের শঙ্কা করছেন লিচু চাষি ও বাগান লিজ নেয়া ব্যবসায়ীরা। 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বাগান ব্যবসায়ী নয়ন জানান, গত বছর শিলাবৃষ্টিতে তার সব লিচু ঝড়ে পড়েছিল। তিনটি বাগান থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা লোকসান হয়েছিল তার। এ বছর বাগানগুলোতে ফলন ভালো হয়েছে। তবে লিচুর আকৃতি এখনো বড় হয়নি। 

ঝড়বৃষ্টির কবলে না পড়লেও তীব্র রোদে লিচুর একপাশের চমড়া পুড়ে গেছে। এখন লিচু যত বড় হচ্ছে লিচু ফেঁটে যাচ্ছে। এ বছর বাগানগুলো থেকে ২০ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করে ঋণ পরিশোধের স্বপ্ন থাকলেও এখন তিনি প্রায় ৫ থেতে ৭ লাখ টাকা লোকসানের শঙ্কা করছেন।

জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর এ বছর লিচুর আবাদ ও বাগান সংখ্যার হিসেব জানাতে পারেনি। সেই সাথে কি পরিমাণ লিচু তীব্র তাপদাহে ক্ষতি হতে পারে তারও ধারণা দিতে পারেনি। 

তবে তারা বলছে উৎপাদনের হিসেব থেকে এর সঠিক পরিসংখ্যান জানাতে পারবেন তারা। তবে কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী গত বছরে জেলার ২৫৬ টি বাগানে ৮০৫ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ৯৯৮ টন লিচু উৎপাদন হয়েছিল।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুই কারণে লিচু ফেটে যেতে পারে। প্রথম কারণ বোরন সারের ব্যবহার ঠিকমতো না হলে আর অনেকদিন পরে বৃষ্টি হলে। তাছাড়াও এবার রোদে তাপমাত্রাটা অনেক বেশি। যে কারণে লিচুর গায়ে দাগ পড়েছে। তবে আমরা চাষিদের নিয়মিত সেচ ও সারের সঠিক ব্যবহার পরামর্শ দিচ্ছি। 

টিএইচ