এ বছরের গত ২২ জুন ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হওয়ার পর সেই আয়রণ ব্রিজের পাশেই নির্মিত হচ্ছে কাঠের পুল।
গ্রামবাসীদের নিয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল আহমেদ খান ও স্থানীয় মো. নান্নু মোল্লার উদ্যোগে ভেঙে যাওয়া আয়রণ ব্রিজের ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য ৬ ফুট প্রস্থ এ কাঠের পুল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
আমতলী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. ইমরান খান বলেন, গত ২২ জুন হলদিয়াহাট আয়রণ ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভেঙে যাওয়ায় হলদিয়ায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পরে।
এই আয়রণ ব্রিজটি হলদিয়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের উপজেলা সদর, জেলাসহ দেশের সর্বত্র যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। কৃষকরা তাদের পণ্য অতিরিক্ত খরচ করে উপজেলা সদরের বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
জনসাধারণের কষ্টের কথা চিন্তা করে আমরা জনসাধারণের সহযোগিতায় একটি কাঠেরপুল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। জনসাধারণ তাতে সাড়া দিয়েছেন কেউ গাছ দিয়ে কেউ শ্রম দিয়ে আবার কেউ অর্থ দিয়ে এগিয়ে আসছেন কাঠের পুল নির্মাণে। আশা করি জনসাধারণের সহযোগিতায় অল্প সময়ের মধ্যে কাঠের পুল নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
ইউপি সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, কাঠেরপুল নির্মাণে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও কাঠেরপুল নির্মাণে প্রতিদিন শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে বলেন, ভেঙে যাওয়া আয়রণ ব্রিজের স্থলে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য কাজ চলমান রয়েছে।
টিএইচ