শ্যালকের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল জলিল মোল্লা নামের এক গ্রাম পুলিশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত জরিল মোল্লা আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের প্রাগপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিন মোল্লার ছেলে ও গ্রামপুলিশের সদস্য। ধর্ষণের শিকার ৩ সন্তানের জননীকে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার হাটুভাঙ্গা গ্রামের মাঠপাড়ার আব্দুল মোমিনের মেয়ে মাহমুদা সুলতানা লাভলীর (৩৫) সাথে ১৬ বছর আগে হাটবোয়ালিয়া বাজারের সুমনের বিয়ে হয়। সুমন স্ত্রী ও এক সন্তান রেখে ৮ বছর আগে মালয়েশিয়া যায়।
সুমন মালয়েশিয়া যাওয়ার পর মাহমুদা সুলতানা লাভলীর সাথে পরিচয় হয় পাশ্ববর্তি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার আমতৈল গ্রামের মৃত উকিল আলীর ছেলে জাফর আলীর সাথে। প্রাবাসী স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় গত ৬ মাস আগে সুমনকে তালাক দিয়ে জাফর আলীকে বিয়ে করেন লাভলী। জাফরের ভগ্নিপতি আব্দুল জলিল প্রায়ই এ বাড়িতে আসা-যাওয়ার ফাঁকে লাভলীকে কু-প্রস্তাব দিতেন।
এরই জেরধরে অভিযুক্ত ২৯ মার্চ রাতে ভিকটিমের বাড়িতে ঢুকে তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে বলে ভিকটিক দাবি করেন।
এ ঘটনায় মাহমুদা সুলতানা লাভলী বাদী হয়ে বুধবার রাতে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ পরদিন সকালেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, রাতে মামলাপূর্বক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়। ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত গ্রামপুলিশ আব্দুল জলিল মোল্লাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
টিএইচ