বিপাকে পড়েছেন নওগাঁর আলু চাষীরা। হাটে আলু তোলার পর কাংখিত দাম না পাওয়ার অভিযোগ করছেন চাষীরা। স্থানীয় হাটে বড় আকারের দেশি আলু প্রতিমণ ৭৯০ থেকে ৮৪০ টাকা, ছোট সাইজের মণ ৭২০ টাকা, কার্ডিনাল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ডায়মন্ড ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা এবং হল্যান্ড আলু ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।
আত্রাই উপজেলার বান্ধায় খাড়া এলাকার আলুচাষি সাব্বির হোসেন বলেন, এ বছর ছয় বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেছি।
এর মধ্যে এক বিঘাতে ভুটানি লাল আলু এবং পাঁচ বিঘা জমিতে দেশি জাতের আলু লাগিয়েছিলাম। বিঘাপ্রতি খচর হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। যেখানে ফলন হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ মণ। তবে কার্ডিনাল বা হল্যান্ডের ফলন বেশি এবং খরচও বেশি হয়। বিঘাপ্রতি প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মণ হয়ে থাকে। তবে দেশি আলুতে পরিশ্রম ও সময় কম লাগে। আর দেশি আলুর দাম বেশি হওয়ায় টাকার অঙ্কে দেখা যায় প্রায় সমান।
একই গ্রামের আলু চাষি ফেরদৌস বলেন, একই হাটে সকালে এক দাম বেলা একটু বাড়লে আরেক দাম। সকালে যে দাম পাওয়া যায় বেলা বাড়লে মণে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কমে যায়। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবজি হাটে বেশি আসলে দাম কমিয়ে দেয়। আবার কম আসলে দাম কিছুটা পাওয়া যায়।
জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মুনজুর এ মওলা জানান, এবার জেলায় ২২ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে যা থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন আলু কৃষকের ঘরে উঠেছে।
তিনি বলেন, আলু জাত নির্বাচন করে চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা। এর কারণ দাম পড়ে গেলে আলুচাষীরা লোকসান গুনছেন। এ ক্ষেত্রে বিদেশে রপ্তানি করার বাজার সৃষ্টি করা ও উন্নত জাত চাষ করার দিকে আমরা জোর দিচ্ছি। এদিকে জেলায় রয়েছে ছোট বড় ১৭টি আলু সংরক্ষাণাগার। এসব কোল্ড স্টোরেজে বস্তা প্রতি ২৬০ টাকা করে নিচ্ছে। সামর্থবানরা আলু সংরক্ষণ করলেও মধ্যেবিত্ত চাষীরা এ সুযোগ নিতে পারছে না।
টিএইচ