গাছের ছায়াযুক্ত স্থানে পতিত জমিতে মসলা জাতীয় ফসল আবাদ করে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার কৃষকরা সফলতা অর্জন করায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে দিনে দিনে বিভিন্ন গাছের নিচে ছায়াযুক্ত পতিত জমি এখন আর পড়ে থাকবে না বলে ধারণা করছে কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর।
উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ছায়াযুক্ত জমিতে মসলা জাতীয় ফসল বিশেষ করে আদা ও হলুদ চাষে আত্মনিয়োগ করেন। এতে লাভবান হওয়ায় অন্য কৃষকরাও এগিয়ে আসছেন।
সদর ইউনিয়নের সোদকনা গ্রামের চিত্তরঞ্জন তাদের মধ্যে একজন। তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে বস্তায় আদা চাষ করেছেন। তিনি ৫০০ বস্তা ব্যবহার করে প্রতি বস্তায় প্রয়োজনীয় মাটি ও জৈব সার মিশিয়ে ১০০ গ্রাম করে আদা রোপণ করেছেন। এতে তার বস্তা প্রতি ৫০ টাকা করে মোট খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ফসল তোলার সময় বস্তা প্রতি ৫৫০ গ্রাম থেকে ৮৫০ গ্রাম আদা উৎপাদন হতে পারে এসময় ৫৫ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করেন।
শুধু চিত্তরঞ্জন একা নয় তার মতো আরও ১০০০ বস্তায় অন্য চাষিরা আদা চাষ করেছেন। পাশাপাশি হলুদ চাষেও কৃষকরা এগিয়ে এসেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম এনামুল ইসলাম জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত জমি অবহেলা ও অজানার কারণে পতিত অবস্থায় থাকতো। এসব জমি কাজে লাগিয়ে অধিক ফসল উৎপাদন ও লাভবান হওয়ার লক্ষ্য মাথায় নিয়ে কৃষি বিভাগ সচেতনতার সঙ্গে কাজ করে আসছে।
ফলে কৃষি দপ্তরের সকল কর্মকর্তা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে কৃষকদের পাশে থেকেছেন। আমরা ফল বাগানে বস্তায় আদা চাষ, অফলা গাছে মেটে আলু চাষ, ছায়াযুক্ত স্থানে আদা-হলুদ চাষাবাদের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে এসেছি। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চাষাবাদের পাশাপাশি অনেক বাসা বাড়িতেও বস্তায় আদা চাষ করা হচ্ছে।
সোদকনা গ্রামের চিত্তরঞ্জনসহ অনেক গ্রামে আধুনিক পদ্ধতিতে ছায়াযুক্ত স্থানে হলুদ ও আদা চাষ করছেন। তাদের সফলতা দেখে অবশিষ্ট এলাকাতেও আগামীতে এমনিভাবে চাষাবাদ শুরু হবে। তখন স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে আদা ও হলুদ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন।
টিএইচ