সাভারের আশুলিয়ায় একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে সন্তানসহ এক দম্পতির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর খবর পেয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারসহ র্যাব-৪ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গত শনিবার রাতে উত্তর গাজীরচট ফকির বাড়ি এলাকার মেহেদী হাসানের মালিকানাধীন ৬ তলা ভবনের ৪ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন -ঠাঁকুরগাও জেলার পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মোক্তার হোসেন বাবুল (৫০), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৪০) ও তাদের সন্তান মেহেদী হাসান জয় (১২)। শাহিদার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই ফ্ল্যাট থেকে অনেক দুর্গন্ধ আসতে থাকে। পরে আশপাশের বাসিন্দাদের সন্দেহ হলে তারা দরজায় ধাক্কা দিয়ে দেখতে পায় দরজা খোলা এবং ঘরের বিছানার ওপর মা ও ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। পরে তারা বাড়ির মালিক ও পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই ফ্ল্যাটের পাশের ঘরে আরেকটি মরদেহ খুঁজে পায়।
আশুলিয়া থানার এসআই জোহাব আলী বলেন, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে এসে বিছানার ওপর দুটি ও পাশের রুম থেকে একটিসহ মোট তিনটি লাশ পেয়েছি। ঘরে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আনুমানিক ৩ দিন আগে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, পিপিএম (বার)। এ সময় তিনি বলেন, একই পরিবারের তিনজনকে খুব নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি শুনে র্যাবের পাশাপাশি আমাদের পুলিশের সিআইডি, ডিবি পুলিশ এখানে এসে কাজ শুরু করেছে।
প্রাথমিকভাবে এটি একটি পুর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। আমরা ধারণা করছি অত্যন্ত ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি খুব শিগগিরই আমরা এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারব।
টিএইচ