জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনা নদী ভাঙনের আতঙ্কে শিকার এলাকাবাসী। রাস্তাঘাট জনবসতি ফসলি জমি, হাট বাজার, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ গতকয়েক দিনে অবিরাম ভারী বর্ষণে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলায় নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাটমা গ্রামের নদী ভাঙনের শিকার হাসর আলী, রমজান মণ্ডল, আব্দুল বারীক, শহিদুর জানান, কয়েক দিন ধরে হঠাৎ যমুনা পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙন শুরু।
পানি বৃদ্ধিতে কাঠমা, ভাংবাড়ী, টগারচর, মাইজবাড়ী জনতা বাজারসহ শত শত ঘরবাড়ি ও উঠতি ফসল ভাঙন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। নদী ভাঙনে ঘর বাড়ি নিয়ে নৌকাযোগে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। আবার খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এলাকাবাসী আরো জানান, সরকার নদী ভাঙন রোধকল্পে কোন স্থানীয় ব্যবস্থা নেয়নি। গতবছর নদী ভাঙনের সময় বালিভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করলেও সঠিকভাবে ডাম্পিং করেনি।
আমরা এলাকাবাসী ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপিকে আপনারদের মাধ্যমে জানাতে চাই খুব তাড়াতাড়ি ভাঙন রোধকল্পে স্থায়ী ব্যবস্থা নেন এবং এই ভাঙন দুর্দশা থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেন। যমুনা দ্বীপচর সাপধরী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রুমান হাসান জানান, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে কাটমা গ্রামে ব্যাপক ভাঙনের শিকার হচ্ছে অনেক পরিবার। আমি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান রোমান জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিয়েছি।
টিএইচ