সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতুতে যানজটের আশঙ্কা 

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতুতে যানজটের আশঙ্কা 

গত বছর পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর কষ্ট অনেকাংশে লাঘব হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গের ঘরে ফেরা মানুষের। তবে এবার ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতুর টোল আদায়ে ধীরগতি কারণে যানজটের আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও চালকরা। 

গত ঈদুল আযহায় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায়ের কারণে সেতুর দুই প্রান্তে প্রতিদিন যানজট তৈরি হয়েছে। ভোগান্তি ছিলো এক্সপ্রেসওয়েতে। এ বছরও একই চিত্র দেখা যেতে পারে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে। এবারও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার চাপ পড়বে পদ্মা সেতুর উপর। পদ্মা সেতু পার হয়ে যানবাহন ওই জেলাগুলোতে যাবে ৷ এতে সেতু পারি দিতে যানবাহনে দীর্ঘলাইন হতে পারে টোল প্লাজা এলাকায়। 

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) মাওয়া টোলপ্লাজা এলাকায় দেখা যায়, যানবাহনের চাপ না থাকায় টোল প্লাজার চারটি বুথে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে আরও দুটি বুথ প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে। ফলে গত বছরের মতো এ বছরও ছয়টি বুথে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হবে।

এ বিষয়ে মাওয়া টোল প্লাজার কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টোল প্লাজার এক কর্মকর্তা বলেন, সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলতে সেতু বিভাগ থেকে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। টোল প্লাজা এরিয়ায় ছবি তোলাও নিষেধ রয়েছে। সেতু বিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে ছবি তোলা যাবে এখানে। 

একাধিক যাত্রী ও চালকরা বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে এবং পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের ম্যানুয়াল পদ্ধতির কারণে যানবাহনের জটলা বাধবে। সেতু পার হলে দ্রুত চলে যাওয়া যাবে। ঈদের ভোগান্তি কমাতে টোল আদায়ের বুথ বাড়াতে হবে, সে সাথে দক্ষ লোকবল দিয়ে টোল আদায় করতে হবে। এছাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় করা গেলে ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা সেতু পারি দেয়া যাবে।

শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জের লিমা আক্তার জানান, আমার স্বামী একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কাজ করেন। গত ঈদে যানজটের কারণে আমার শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই আমার স্বামী বলছেন বাচ্চাদের নিয়ে আমাকে আগে গ্রামের বাড়িতে যেতে। যাতে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে না হয়। তিনি আরও বলেন, ঈদের আগের দিন এখানে অনেক জ্যাম ছিলো। রাস্তা গাছপালা না থাকায় রোদের তাপে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

মাদারীপুর পরিবহনের সুপারভাইজার বিপুল ঘোষ বলেন, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় বুথের সংখ্যা কম হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। ঈদের আগে বুধ বাড়ানোর সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় করা হলে ভোগান্তি কমে আসবে। 

বর্তমানে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে ৬টি করে মোট ১২টি টোল বুথ আছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য টোল আদায় ও সংরক্ষণের কাজ পেয়েছে কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশন ও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। টোল বুথে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা দায়িত্ব পালন করছেন।

টিএইচ