বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

ঈশ্বরদীতে কিশোরের ট্রাংকবন্দী মরদেহ উদ্ধার 

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি 

ঈশ্বরদীতে কিশোরের ট্রাংকবন্দী মরদেহ উদ্ধার 

পাবনার ঈশ্বরদীর এক ছাত্রাবাসে মাদক সেবন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তপু হোসেন (১৪) নামে এক কিশোর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার সরকারি কলেজের পাশে মশুরিয়াপাড়া এলাকার অরণ্য ছাত্রাবাসের ৩য় তলার ৩০৫ নং রুম থেকে নিখোঁজের ৭ দিন পর নিহত তপুর ট্রাংকবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে সিআইডি রাজশাহী পুলিশ।

জানা যায়, গত ১৫ জুন ওই কিশোরকে অনেক খোঁজাখুজি করে না পাওয়ায় পরদিন ১৬ জুন তাকে নিখোঁজ উল্লেখ করে নিহতের মা ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

ছাত্রাবাসের ২য় তলার ছাত্র জানায়, ঈদের পর রোববার (২৩ জুন) তারা নিজ সিটে ফিরে আসে, প্রচণ্ড গন্ধ আসায় উৎস খুঁজতে গিয়ে তারা ৩য় তলার মেঝেতে রক্ত ও ৩০৫নং রুমে একটি ট্রাংক দেখতে পায়। 

পরে বাড়ির মালিককে ডেকে পুলিশে খবর দেয়। এর পরপরই পুলিশ, র্যাব, ডিবি, পিবিআই ও পাবনা জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিখোঁজ তপুকে ট্রাংকবন্দী অবস্থায় দেখতে পান। নিহত তপু ওই এলাকার রিকশাচালক আবুল কাশেমের ছেলে।

পুলিশ জানায়, ঈদের দুদিন আগে মাদক সেবন নিয়ে তপুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের। পরে তারা কৌশলে ডেকে নিয়ে তপুকে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ ট্রাংকবন্দী করে উল্লিখিত ওই ছাত্রাবাসের ৩০৫নং রুমের মধ্যে রেখে পালিয়ে যায়।

এর আগে নিখোঁজের পরদিন হত্যাকারীরা তপুর বাবার মুঠোফোনে কল দিয়ে বিকাশে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন, নিহতের বাবা ১০ হাজার টাকা বিকাশে দিয়ে দেন। বিকাশে টাকা আদান-প্রদানের সূত্র ধরেই পুলিশ আলিফ হোসেন ও মনিরুজ্জামানসহ তিনজন সন্দেহভাজনকে আটক করে।

সিআইডি জানায় তপুর মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়নি, ট্রাঙ্কের ভেতরে ভাজ করে রাখা ছিল। নিহত তপুর মরদেহ ও আলামত উদ্ধার করে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

টিএইচ