পাবনার ঈশ্বরদীতে সাবেক অধ্যাপকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে লুট হওয়া মালামাল। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় আবিদ হাসান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘাতক আবিদ হাসান পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার বিলসলঙ্গি জোলা পাড়া গ্রামের মৃত রতন আলীর ছেলে। সে বেশ কিছুদিন ধরে ঈশ্বরদীর নতুন হাট এলাকার আ. লতিফের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। শনিবার (১৫ এপ্রিল) পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয় চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।
তিনি বলেন, ৩ এপ্রিল রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইপিজেড সংলগ্ন মোড়ে রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যাপকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ নিহত হয়। পরে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনায় মামলার পর থেকে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কক্সবাজার কলাতলী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সংলগ্ন এহসান বোর্ডিংয়ের ১০৩ নম্বর কক্ষ থেকে এই মামলার হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি মো. আবিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় হত্যায় সময় লুট হওয়া বিভিন্ন মালামাল।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের ৫/৬ দিন পূর্বেও সে ওই বাড়িতে কাজ করে। কাজ করার সময় সে লক্ষ্য করে যে, হাজেরা খাতুন ধনী এবং সে বাসায় একা থাকে। কেয়ারটেকার মিন্টুও বৃদ্ধ এবং চোখেও ভাল দেখতে পায় না। এই ভেবে সে হাজেরা খাতুনকে হত্যা করে বাসা থেকে চুরি করার পরিকল্পনা করে এবং সুযোগের অপেক্ষায় থাকে।
আসামি হাজেরাকে ঘুমন্ত অবস্থায় পেয়ে বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে। এক পর্যায়ে হাজেরা খাতুন জেগে গিয়ে নড়াচড়া করলে সে খাট থেকে নিচে পরে যায় এবং নিচে থাকা বাটি লেগে কপাল কেটে যায়। এরপর আবিদ আবার বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
টিএইচ