সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় উন্নতজাতের ডাল ও সূর্যমুখীর মাঠ পরিদর্শন 

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় উন্নতজাতের ডাল ও সূর্যমুখীর মাঠ পরিদর্শন 

পটুয়াখালীতে দিয়ারামখোলা, কুয়াকাটা, কলাপাড়ায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের সূর্যমুখী, মুগডাল ও ফেলন ডালের উপর মাঠ পরিদর্শন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, পটুয়াখালীর সহযোগিতায় এ কার্যক্রমে ড. মাজহারুল আনোয়ার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সরেজমিন গবেষণা বিভাগ বিএআরআই গাজীপুরের সভাপতিত্ত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। 

এ সময় আরো উপস্থতি ছিলেন, পরিচালক (ডাল গবষেণা) ড. মো. ছালেহ উদ্দিন, ড. ফেরদৌসী বেগম, প্রকল্প সমন্বয়ক ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিতত্ত্ব বভািগ বিএআরআই গাজীপুর ড. বমিল চন্দ্র কুন্ডু, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আর এ আর এস, বিএআরআই রহমতপুর বরিশাল ড. মো. হারুনুর রশীদ, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সরেজমিন গবেষণা বিভাগ বিএআরআই খুলনা ড. মো. মাহবুবুল আলম, ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ জনাব মো. নজরুল ইসলাম, উপ পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পটুয়াখালী। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, গবেষণা ও সম্প্রসারণ বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। এ মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশে প্রায় ২০০ কৃষক কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ড. এইচ, এম খায়রুল বাসার, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান সরেজমিন গবেষণা বিভাগ বিএআরআই পটুয়াখালী। দক্ষিণাঞ্চলের পতিত জমি আবাদের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাত প্রদর্শনী ও বিভিন্ন জাতের ট্রায়াল স্থাপন করা হয় এবং মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহ দেয়া হয়। ফসলের মধ্যে বারি সূর্যমুখী-২ এবং ৩, বারি মুগ-৬ এবং বারি ফেলন-১ এর উৎপাদন কার্যক্রম বিদ্যমান। 

বিজ্ঞানীরা জানান, বারি সূর্যমুখী-২ এবং ৩ একটি উচ্চ ফলনশীল জাত যা প্রায় হাইব্রিডের মত ফলন দেয় এবং এ সূর্যমুখীর জাতের বীজ কৃষকরা নিজেই নিজের বীজ উৎপাদন এবং পরবর্তী বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন। এ জাতে প্রায় ৪২-৪৪ ভাগ তেল আছে। বারি মুগ-৬ এবং বারি ফেলন-১ ও একটি উচ্চ ফলনশীল জাত এবং এ বীজ ও কৃষকরা পরবর্তী বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন। 

টিএইচ