দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হচ্ছে ৬ষ্ঠ পর্যায় উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন প্রথম ধাপের ৮ই মে নির্বাচনে ২১ই মার্চ ১৫২টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। প্রথম ধাপে তফসিল ঘোষণায় ইন্দুরকানী উপজেলা অর্ন্তভুক্ত রয়েছে।
তবে এই প্রথম ইন্দুরকানীতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ। এর আগে নির্বাচন কমিশন ৪৮১টি উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ধাপ অনুসারে একটি নির্বাচনি তালিকা প্রকাশ করেন। সেই তালিকায় ইন্দুরকানী উপজেলায় তৃতীয় ধাপে অর্ন্তভুক্ত ছিল। পরে নির্বাচন কমিশন সংশোধনীয়তে ইন্দুরকানী উপজেলা তৃতীয় ধাপ থেকে প্রথম ধাপে নির্ধারণ করেন।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাঁচটি ইউনিয়ন এবং ৭০ হাজার ভোটার নিয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে ইফতার ও গণসংযোগের মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। এরই মধ্যে চায়ের দোকানে পরিষদ বসিয়ে উপজেলার উন্নয়নের হিসাব-নিকাশও শুরু করেছে সাধারণ মানুষ বা উপজেলার ভোটাররা।
ভোটারদের মন পেতে প্রার্থীরা বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিভিন্ন আশার বানী দিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এসব প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরাও বসে নেই। নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ নানাভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যান। ক্ষমতাসীন আ.লীগের একই দল থেকে একাধিক প্রার্থী নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রার্থীদের নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করে থাকেন।
এদিকে বিএনপি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত তারা কোন উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে না। আবার জামাতের নেতাকর্মীদের থেকে জানা যায, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচনের মাঠে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড এম মতিউর রহমান, পিরোজপুর জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউর আহসান গাজী, জামায়াত সমর্থিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী, বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফায়জুল কবির তালুকদার।
টিএইচ